স্টাফ রিপোর্টার ॥ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ, ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক এমপি বলেছেন, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার থেকে বের হয়ে তরুণ উদ্যোক্তারা আইটি ইন্ডাষ্ট্রিতে যেনো ব্যাপক পরিসরে কাজ করতে পারে সে লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় হাই-টেক পার্ক স্থাপনের কাজও সমান্তরালে চলমান রয়েছে। এই ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার হতে প্রতি বছর এক হাজার তরুন-তরুণি প্রশিক্ষণ নিয়ে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবে। তিনি শনিবার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর সিংপাড়ায় “শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার” এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
তিনি বলেন, এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের আইটিতে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই প্রকল্প। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করে একাডেমিয়া এবং আইটি ইন্ডাষ্ট্রির মধ্যে সেতুবন্ধন প্রতিষ্ঠা করা হবে এর মাধ্যমে। ফলে আইটি/আইটিইএস খাতে বাংলাদেশের যুব সমাজের আত্ম-কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হবে। আগামী ২ বছরের মধ্যে ঠাকুরগাঁও জেলার আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারের নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে গেলে কার্যক্রম শুরু হবে। এটি চালু হলে ঠাকুরগাঁওয়ের তরুন-তরুণিরা প্রত্যন্ত অ লে বসেই ইউরোপ আমেরিকার বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করে ডলার আয় করবে। ডলার আয়ের জন্য আর বিদেশে পারি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আর এই তরুণ প্রজন্মের হাত ধরেই আমরা ২০৪১ সালেল মধ্যে একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিযোগিতার এই যুগে তরুণদের টিকে থাকতে হলে প্রযুক্তি শিক্ষার বিকল্প নেই। সরকার এজন্যই একটি প্রযুক্তি নির্ভর জাতি গড়ে তূলতে কাজ করে চলেছে। ঠাকুরগাঁওয়ে যে গতানুগতিক ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালিত হয়ে এসেছে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের আইটিতে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করে আইটি ইন্ডাষ্ট্রিতেও এখন ঠাকুরগাঁওবাসীর অবদান রাখার ক্ষেত্র প্রস্তুত হলো। এর মাধ্যমে যুব সমাজের আত্ম-কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হবে।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মো: মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আ’লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য দ্রৌপদী দেবী আগারওয়ালা, ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলাম সুজন, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফরউল্লাহ এনডিসি (গ্রেড-১), প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম প্রমুখ। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কের) মিথুন সরকার, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: আব্দুল মজিদ আপেল, পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারুল ইসলাম সরকারসহ আ’লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবন্দ ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এটি বাস্তবায়ন করছে। মোট ২ দশমিক ১৮ একর জায়গা নিয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর সিংপাড়া মৌজায় এটি নির্মিত হচ্ছে। ঠাকুরগাঁও সহ ১৩টি জেলায় এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১১৫ কোটি টাকা।
অপরদিকে বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে মোবাইল অপারেটরদের নেটওয়ার্কের মান যাচাইয়ের জন্য নেটওয়ার্ক কোয়ালিটি টেস্ট/ড্রাইভ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘হার পাওয়ার” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় জেলার ২৬৫ জন নারী প্রশিক্ষনার্থীদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ, ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক।
এই ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার হতে প্রতি বছর এক হাজার তরুন-তরুণি প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবে
- ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক এমপি
১৩৪