সোমবার (১৫ জানুয়ারি) উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ধর্মপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার ভোরে দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ধর্মপুর সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমানা ১০৫৭ পিলারের কাছ দিয়ে ভারত থেকে ২০-২৫টি গরু অবৈধভাবে বাংলাদেশের ধর্মপুর গ্রামে নিয়ে আসে কয়েকজন চোরাকারবারি। সেখান থেকে গরুগুলো ধর্মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্বপাশে খোলামাঠে বেঁধে রাখা হয়। সোমবার সকাল ৮টার দিকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে দাঁতভাঙ্গা কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আঞ্জু আহমেদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে চোরাই গরুগুলো জব্দ করে। এ সময় গরু চোরাকারবারিরা হইচই করে গ্রামের লোকজনকে জড়ো করে এবং বিজিবি সদস্যদের ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে চোরাকারবারি ও বিজিবির মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াসহ সংঘর্ষ হয়।
দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) শাহাজাহান আলী জানান, ভারত থেকে গরু পাচার করে নিয়ে এসে ধর্মপুর গ্রামে রাখে পাচারকারিরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু করে বিজিবি সদস্যরা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে চোরাকারবারি ও গ্রামবাসী বিজিবির ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। আহত হয় কয়েকজন।
জামালপুর বিজিবির ৩৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক আব্দুল্লাহ আল মাশরুকীর মোবাইল ফোনে একাধিবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
রৌমারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ হীল জামান জানান, বিজিবি ও এলাকাবাসীর মধ্যে মারামারির ঘটনা শুনেছি। তবে দুই পক্ষের কেউ অভিযোগ করেনি থানায়।