Home » ঠাকুরগাঁওয়ে শীতজনীত রোগে বেশি আক্রন্ত হচ্ছে শিশুরা

ঠাকুরগাঁওয়ে শীতজনীত রোগে বেশি আক্রন্ত হচ্ছে শিশুরা

by নিউজ ডেস্ক
লোকায়ন ডেস্ক রিপোর্ট: ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা আধুনিক সদর হাসপাতালে দেখাগেছে দৈনিক গড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ জন ডায়রিয়া রোগী আসছে। চিকিৎসা সেবা নিয়ে বাসায় ফিরছে।
পৌষের প্রকৃতিতে হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় বাড়ছে রোটাভাইরাসসহ বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়া ও ভাইরাসজনিত ডায়রিয়ার সংক্রমণ। এ সময়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশু।
চিকিৎসারা বলছেন, শীত মৌসুমে রোটাভাইরাসজনিত ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ে। এখন পৌষের শেষ দিকে শৈত্যপ্রবাহ ও উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে প্রকৃতিতে ঠান্ডা জেঁকে বসেছে। যেহেতু শীতকালে শিশুদের ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার জন্য দায়ী সংক্রামক ভাইরাস ‘রোটা’। ফলে পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুরা এই ভাইরাসজনিত ডায়ারিয়ায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
আন্ততর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিআরবি) সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে দৈনিক গড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ জন ডায়রিয়া রোগী আসছে। তবে এই সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় স্বাভাবিক।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা দৈনিক ইনকিলাব প্রতিনিধি এস,কে মাসুদ রানাকে বলেন, দেশে সাধারণত প্রি-মনসুন তথা বর্ষার আগে (গ্রীষ্মকাল) ও শীত মৌসুমে রোটাভাইরাসজনিত ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ে। এখন পৌষের শেষ দিকে শৈত্যপ্রবাহ ও উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে প্রকৃতিতে ঠান্ডা জেঁকে বসেছে। যেহেতু শীতকালে শিশুদের ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার জন্য দায়ী সংক্রামক ভাইরাস ‘রোটা’। ফলে পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুরা এই ভাইরাসজনিত ডায়ারিয়ায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ সাজ্জাদ হায়দার শাহীন জানিয়েছেন, ডায়রিয়া রোগ সাধারণত রোটা, সিজেলা, ডিসেন্ট্রি, ই-টেক ও কলেরাসহ বিভিন্ন ধরনের জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হয়। তবে শীতকালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের ৭০ থেকে ৮০ ভাগই রোটাভাইরাসের সংক্রমণের শিকার হয়। আমরা সাবক্ষনিক তাদের উন্নত সেবা দেবার চেষ্টা করছি।
রোটাভাইরাস মুখ দিয়েই শিশুদের পাকস্থলিতে প্রবেশ করে। বড়দের ক্ষেত্রে রোটা খুব একটা দুর্বল করতে পারে না। রোটাভাইরাস রোধ করতে শিশু কী খাচ্ছে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, রোটাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শরীরে এর প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। আক্রান্তদের উপসর্গ হিসাবে প্রথমে শুরু হয় বমি। এরপর খুব কম সময়ের মধ্যে ডায়রিয়া তীব্র আকার ধারণ করে এবং পানিশূন্যতা এত বেশি হয় যে, সময়মতো চিকিৎসা দেওয়া না গেলে প্রাণহানির আশঙ্কাও দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া সঙ্গে জ্বর ও পেট ব্যথাও থাকতে পারে।
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা আধুনিক সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ রকিবুল আলম চয়ন বলেন,অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ডিসেম্বরে রোটাভাইরাস সহ বিভিন্ন শিশু রোগে ১হাজার ৭শত ৫০ জন শিশু চিকিৎসা নিয়েছে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা আধুৃনিক সদর হাসপাতালে। এর আগের বছর একই সময় চিকিৎসা নিয়েছিল দুই হাজার শিশু। নতুন বছরের প্রথম ১০ দিনে ভর্তি হয়েছে ৫শত ২১ জন শিশু। এছাড়াও ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা আধুৃনিক সদর হাসপাতালে অদ্যবধি শিশু রোগী ভর্তি আছে ৮শত ৫জন। পঞ্চগড়, বীরগঞ্জ, দশমাইল সহ জেলার ৫টি উপজেলা এবং দুইটি থানা থেকে প্রতিনিয়ত উন্নত সেবা নিতে এই হাসপাতালে রোগী আসছেন।

You may also like

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. সাকের উল্লাহ

স্বত্ব © ২০২৪ দৈনিক লোকায়ন