৭৩
আব্দুল আউয়াল ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃসারা দেশে গত কয়েক দিন ধরেই হচ্ছে বৃষ্টি। এই বৃষ্টির জন্য অনেককেই বাসাবন্দি থাকতে হয়। তবু প্রয়োজনে বাইরে বের হতে হয় অনেককে। এর মধ্যে বেশি বিপাকে পড়তে হয় নিম্নআয়ের মানুষকে। জীবিকার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারেন না এসব মানুষ। সেই কর্মজীবীদেরও ভোগান্তি পোহাতে হয় পথে পথে।
কালিবাড়ি,চৌরাস্তা, বাসস্ট্যান্ডে, আর্টগ্যালারি ও ঠাকুরগাঁও রোড সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ঘুরে নিম্ন আয়ের মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, সবাই বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অনেকের সারা দিনে কোনো উপার্জনই হয়নি, আবার কারো কারো স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অর্ধেকেরও কম উপার্জন হয়েছে।
জজকোর্ট চত্বরে কয়েকটি পান-সিগারেট বিক্রেতা মাসুদ আলম বলেন, কয়েক দিন ধরে বৃষ্টি দোকান খুলে বসে আছি।কিন্তু ১০০০ টাকার মতোও বিক্রি করতে পারিনি। অন্যান্য দিন আড়াই থেকে তিন হাজার টাকার মতো বিক্রি হয়।
বড় মাঠের দোকাদার জামাল মিয়া চকিতে ভাসমান দোকান দিয়ে জামা-কাপড় বিক্রি করেন। তিনি সাংবাদিক কে বলেন, আমার বাসা ফকির পাড়া এলাকায়। সকাল থেকে বৃষ্টির জন্য খুব কষ্ট করে দোকান চালাতে হচ্ছে। বৃষ্টি হওয়ায় কয়েকবার দোকান সরিয়েও নিতে হয়েছে। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দোকান চালিয়ে মাত্র দুই শ থেকে তিন শ টাকার মতো বেচাকেনা হয়েছে। অথচ বেচাকেনা হোক বা না হোক দোকান খুললেই খরচ বাবদ হাজার টাকার ওপরে লাগে। টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ব্যবসার অবস্থা খুব খারাপ।
ঠাকুরগাঁও রোড এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, এই সপ্তাহের শুরু থেকেই ছিল বৃষ্টি। আমার মতো যারা জামা-কাপড় বিক্রি করে তাদের অবস্থা খুবই খারাপ। ফুটপাতে দোকান নিয়ে বসে থাকলেও ক্রেতাদের দেখা মেলে না। আজ বাধ্য হয়ে দোকান না বসিয়ে হাতে করে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করছি। কারণ বসে থেকে তো আর বিক্রি হচ্ছে না।
বৃষ্টি হলে ভোগান্তি বেড়ে যায় জানিয়েছেন রফিক নামের এক কর্মজীবী তিনি সাংবাদিক কে বলেন, বৃষ্টি হলে রাস্তায় চলাচলে প্রতিটি জায়গায় সমস্যায় পড়তে হয়। অফিস যাওয়ার সময় গণপরবিহনের সঙ্কট দেখা দেয়। সেই সঙ্গে রিকশা দিয়ে গেলেও বাড়তি ভাড়া গুনতে হয়। ২০ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা দাবি করে অনেক চালক। তাই এই বৃষ্টিতে চলাফেরা করা অনেক কষ্ট হয়ে যায়।