৬৯
শহর সংবাদদাতা: ঠাকুরগাঁওয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রেখে যাওয়া নবজাতক মেয়ে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলাপ্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে জেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের সদস্যদের নিয়ে এ বিষয়ে এক আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে সকলের সম্মতিক্রমে ও আবেদনকারীদের তথ্য যাচাই বাছাই শেষে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হয়।
যাচাই বাছাইয়ের পরে জেলাপ্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান শিশুটিকে লালন পালন করার জন্য শহরের একটি সন্তানহীন পরিবারের সদস্যদের হাতে ওই নবজাতককে তুলে দেন।
সভায় জেলাপ্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, যে শিশুদের মা বা অভিভাবক পাওয়া যায় না । সেই শিশুদের বিকল্প পরিচর্যার বিষয়ে জেলা শিশু কল্যাণ বোর্ড ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। যেহেতু এই শিশুটির অভিভাবকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই শিশু আইন ২০১৩ এর সকল বিধি বিধান মেনে শিশুটিকে আমরা হস্তান্তর করেছি। ইতিমধ্যে শিশুটিকে নেওয়ার জন্য প্রায় ১০ জন আবেদন করেছিলেন। তাদের মধ্য যাচাই বাছাই করে যে মহিলাটি হাসপাতালে শিশুটির পরিচর্যায় সহযোগিতা করেছেন সত্য সাপেক্ষে তার কাছে আমরা শিশুটিকে দিয়েছি।
এছাড়াও শিশুটির ৬ বছর বয়স পর্যন্ত তার তত্ত্বাবধান করার দায়িত্ব জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রবেশন কর্মকর্তা নাজমুজ সাকিবকে দেওয়া হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সোলেমান আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো. আসাদুজ্জামান, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রবেশন কর্মকর্তা নাজমুজ সাকিবসহ জেলা শিশু কল্যাণ বোর্ড ও প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
উল্লেখ্য- গত সোমবার (১ জুলাই ) সকাল ৮টায় শিশুটিকে নিয়ে এক তরুণ নারী ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন ও ভর্তি করান। সকাল ১০ টার পর থেকে শিশুটির পাশে তাকে আর দেখা যায়নি। পরবর্তীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন ভর্তির কাগজে উল্লেখিত ঠিকানাসহ বিভিন্ন উপায়ে শিশুটির অভিভাবকের অনেক খোঁজাখুঁজি এবং খবর নিলেও তার কোনো অভিভাবক খুঁজে পাননি।
তাই শিশু আইন ২০১৩ এর ৮৪(৩) ধারা মতে শিশুটি সুবিধাবঞ্চিত বলে গণ্য হয়। তার সার্বিক কল্যাণ ও সর্বোত্তম স্বার্থ বিবেচনায় উপযুক্ত ব্যক্তির নিকট একীকরণের মাধ্যমে শিশুটির বিকল্প পরিচর্যা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আবেদনকারীর নিকট হস্তান্তর করা হয়।