২১৮
পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সহকারি শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে শালবাহান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.আবু বকর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে। জানুয়ারী মাসে প্রথম এমপিও পাওয়ার পর তাসরীন আকতার নামের এক শিক্ষক সম্প্রতি বিদ্যালয়ে যোগদান করতে আসায় শিক্ষক শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মাঝে সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি সঠিক তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার জোর দাবী জানান তারা।
জানা যায়, সম্প্রতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২০২৪ সালের জানুয়ারী মাসের এমপিও শীটে সহকারী শিক্ষক (শাখা) তাসরীন আকতার কে নতুন ও প্রথম এমপিও ভূক্ত করা হয়েছে। পরে ৫ ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয়ে আসেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগও করেছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য এসএম মহসীনুল রহমান। অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষকের কথা অনুযায়ী ওই শিক্ষককে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি বিগত ২০১৫ সালে নিয়োগ প্রদান এবং তিনি ২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মাসে যোগদান করেন। তখন থেকে অদ্যাবধি ওই শিক্ষিকাকে বিদ্যালয়ে আগমন করতে দেখা যায় নাই এবং বিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কাহারো সাথে তিনি পরিচিত ও সম্পর্কিত না।
এসএম মহসীনুল রহমান ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, এই শিক্ষককে আমরা এর আগে কখনো বিদ্যালয়ে আসতে দেখেনি। এমনকি এই নামে কোন শিক্ষক ছিল জানা নাই। প্রধান শিক্ষক হয়তো অতিরিক্ত সুবিধা নিয়ে কাগজপত্র সৃষ্টি করে পুর্বের তারিখে নিয়োগ দেখিয়ে এমপিওভুক্ত করার পর বিদ্যালয়ে নিয়ে আসেন।
প্রধান শিক্ষক মো.আবু বকর সিদ্দিক জানান, ওই শিক্ষকের নিয়োগ ১৫ সালে দেয়া হয়েছে এমপিও না হওয়ার কারনে বিদ্যালয়ে আসেননি। এমনকি আমিও আসতে দেইনি। এর আগে রংপুর ডিডি স্যারের কাছে বারবার এমপিও আবেদন করে শাখা জটিলতায় হয়নি। নতুন ডিডি স্যার আসার পরে এমপিওভুক্ত করার ব্যবস্থা করে দেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফজলে রাব্বি জানান, অভিযোগের বিষয়টি শিক্ষা অফিসারসহ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করে দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।