স্টাফ রিপোর্টার, পীরগঞ্জ : ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেয়ার নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আকতারুল ইসলামের আস্থাভাজন ও একান্ত সহকারি পরিচয়দানকারি শান্তু নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। টাকা দিয়েও ঘর না পেয়ে শান্তুর কাছে টাকা ফেরত চাইতে গেলে উল্টো এক নারীকে মারপিট করার অভিযোগও পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শান্তুর বিচার দাবী করে গত মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আয়েশা বেগম নামে এক ভূক্তভোগী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পীরগঞ্জ উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের বিশু মোহাম্মদের ছেলে শান্তু
নিজেকে উপজেলা চেয়ারম্যানের একান্ত সহকারির পরিচয় দিয়ে সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে প্রায় দুই বছর আগে পৌর শহরের জগথা(হঠাৎপাড়া গ্রামের) মোবারক আলীর স্ত্রী আয়েশা বেগমের কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা, আয়শার বোন হনুফার কাছ থেকে ১১ হাজার ৫০০শ টাকা, ননদ জাহানারার কাছ থেকে ১১ হাজার ৫০০ টাকা এবং মেয়ে মুন্নি আক্তারের নিকট থেকে ৫ হাজার টাকা ঘুষ নেয়। কিন্তু টাকা নেয়া দুই বছর পার হয়ে গেলেও ঘড় পাইয়ে দেয়নি। শান্তুর কাছে টাকা ফেরত চাইতে গেলে তিনি কালক্ষেপন করতে থাকেন। গত ৬ মার্চ সকালে শান্তুর কাছে টাকা চাইতে গেলে আয়শাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে ও চর থাপ্পর কিল ঘুশি মারে। ভবিষ্যতে শান্তু বা তার পরিবারের কোন লোকের কাছে টাকা চাইতে গেলে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেয়া হয় ঐ নারীকে। মারপিটের শিকার হয়ে ঐ নারী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।
অভিযোগ রয়েছে, শান্তু নিজেকে কখনো পীরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যানের একান্ত সহকারি কখনো বড় অফিসার পরিচয় দিয়ে অনেক জনের কাছে কাছে টাকা নিয়ে আতœসাৎ করেছেন।
মারপিট করার অভিযোগ অস্বীকার করে শান্তু বলেন, কাজটা করে দেয়ার জন্য চা খাওয়া বাবদ দুই হাজার টাকা ঐ নারী তাকে দিয়েছিল। কাজটা হয়নি টাকা ফেরত দিয়ে দিয়েছি। কাউকে মারপিট বা গালিগালাজ বা হুমকি দেয়ার অভিযোগ সত্য নয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রমিজ আলম বলেন, শান্তর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আকতারুল ইসলাম বলেন, “শান্তু আমার ব্যক্তিগত সহকারি না। সে আমার অফিসে কাজ করত। অভিযোগ পাওয়ার পর অফিস থেকে তাকে বের করে দিয়েছি। আমিও চাই তার বিচার হোক”।