লোকায়ন ডেস্ক:
বাইক কেনার সময় সবাই প্রথমেই যে জিনিসটা দেখেন তা হচ্ছে বাইকটির মাইলেজ কেমন। কারণ এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তবে বাইক চালানোর কিছুদিন পরই দেখা যায় মাইলেজ কমতে থাকে।
মাঝে মাঝেই দেখা যায় শখের মোটরসাইকেল ভালো মাইলেজ দিচ্ছে না! এদিকে পেট্রোলের দাম আকাশ ছোঁয়া। চিন্তায় কপালের ভাঁজও দীর্ঘ হচ্ছে আপনার। এক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে বাইকের মাইলেজ ভালো পাবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক উপায়গুলো-
স্বাভাবিক গতিতে বাইক চালান
মোটরসাইকেল কখনো খুব দ্রুত তুলবেন না বা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি গতিতে মোটরসাইকেল চালাবেন না। মোটরসাইকেলটি সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে চালান। এতে ভালো মাইলেজ পাবেন এবং বাইকের ইঞ্জিনের আয়ু বৃদ্ধি পাবে।
সময়মতো সার্ভিসিং
যথাসময়ে মোটরসাইকেল সার্ভিসিং করুন। সময়মতো এয়ার ফিল্টার, ইঞ্জিন তেল এবং তেল ফিল্টার পরিবর্তন করুন। চেইন স্প্রোকেট চেক করুন এবং তেলযুক্ত করুন। প্রতি ৬ মাস বা ৫ হাজার কিলোমিটার পরপর মোটরসাইকেল সার্ভিস করতে হবে। এটি শুধু মোটরসাইকেলের মাইলেজই বাড়াবে না বরং সেই বাইকটি আরও স্মুথ চলবে এবং সবসময় নতুন দেখাবে।
রোদে বাইক পার্ক করবেন না
বাইক কখনো উজ্জ্বল সূর্যের আলোতে পার্ক করা উচিত নয়। এই কারণে বাইকের ট্যাঙ্কে সরাসরি সূর্যের আলো পড়ার কারণে তা উত্তপ্ত হয়ে পেট্রোল বাষ্প হয়ে যায়। এর ফলে বাইকের মাইলেজ কমে যায়। এছাড়া মোটরসাইকেলের রংও নষ্ট হয়ে যায়। তাই সবসময় ছায়ায় বাইক পার্ক করুন।
মোটরসাইকেলের টায়ারের হাওয়া
মোটরসাইকেলের টায়ারে সবসময় সঠিক বায়ুচাপ বজায় রাখুন। শীতকালে এটি ৩৫ পাউন্ড এবং গ্রীষ্মে ৩২ পাউন্ড রাখুন। এতে মোটরসাইকেল ভালো মাইলেজ দেবে এবং ইঞ্জিনে কম লোড হবে।
ডান গিয়ারে বাইক চালান
সর্বদা সঠিক গিয়ারে বাইক চালান। অর্থাৎ গতি অনুযায়ী গিয়ার নির্বাচন করুন এবং উচ্চ গতিতে চতুর্থ বা পঞ্চম গিয়ারে চালান। যেখানে দ্বিতীয় বা তৃতীয় গিয়ারে কম গতিতে। এতে জ্বালানি খরচ সঠিক পরিমাণে হবে এবং বাইকের মাইলেজ বাড়বে।
সূত্র: বাজাজ অটো ফাইন্যান্স