আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্কুলে আশঙ্কাজনক হারে ঘৃণামূলক অপরাধ (হেইট ক্রাইম) বৃদ্ধি পাচ্ছে। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদেন দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই জানিয়েছে, বর্তমানে প্রতি ১০টি ঘৃণামূলক অপরাধের মধ্যে অন্তত একটি ঘটছে স্কুলগুলোতে।
সাম্প্রতিক বেশ কিছু ঘৃণামূলক অপরাধের ঘটনা বিশ্লেষণ করে এফবিআই দেখেছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লক্ষ্যবস্তু বা ‘টার্গেটে’ পরিণত হচ্ছেন কৃষ্ণাঙ্গ শিক্ষার্থীরা। তারপর এই সারিতে রয়েছেন যথাক্রমে ইহুদি ধর্মাবলম্বী ও এলজিবিটিকিউ শিক্ষার্থীরা।
প্রতিবেদেন এফবিআই জানিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সাল— ৩ বছরে সংঘটিত অপরাধগুলোর পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে যেসব স্থান ও প্রতিষ্ঠানে ঘৃণামূলক অপরাধ সবচেয়ে বেশি হচ্ছে, সেসবের মধ্যে তৃতীয় শীর্ষস্থানে রয়েছে স্কুলগুলো।
মার্কিন আইনের সংজ্ঞা অনুযায়ী, নিজের বর্ণ, ধর্ম, লৈঙ্গিক (পুরুষ/নারী) ও নৃতাত্ত্বিক পরিচয় প্রভৃতির প্রতি উগ্র/অন্ধ পক্ষপাতিত্বের প্রভাবে বশীভূত হয়ে অপর কোনো বর্ণ, ধর্ম, লৈঙ্গিক ও নৃতাত্বিক পরিচয়ের মানুষের প্রতি আক্রমণাত্মক আচরণই ঘৃণামূলক আচরণ।
যুক্তরাষ্টের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে বছরজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলগুলোতে মোট ঘৃণামূলক অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল মোট ৭০০টি। তার চার বছর পর ২০২২ সালে এই সংখ্যা বেড়ে পৌঁছায় ১ হাজার ৩৩৬টিতে। অর্থাৎ মাত্র চার বছরে দেশটির স্কুলগুলোতে ঘৃণামূলক অপরাধের সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণ।
এফবাইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিন্ডারগার্টেন থেকে উচ্চমাধ্যমিক— সবধরনের স্কুলেই বেড়েছে ঘৃণামূলক অপরাধ।
মার্কিন অপরাধ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, স্কুলগুলোতে ঘৃণামূলক অপরাধের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি। কারণ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানে কেবল নথিবদ্ধ অপরাধগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তব সত্য হলো, অধিকাংশ ঘৃণামূলক অপরাধ কখনও নথিভুক্ত হয় না।
সূত্র : রয়টার্স