৫১
স্টাফ রিপোর্টার:মিয়ানমার ও সেন্টমার্টিন ইস্যু বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের উপর হুমকি উল্লেখ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত আসছে, মিয়ানমানের ছোড়া গুলিতে মানুষ মারা যাচ্ছে কিন্তু সরকার কিছুই করছে না। এই দুর্বল ও নতজাত সরকার তারা বিদেশের উপর নির্ভর করেই টিকে আছে। সেকারণে একটা কথা পর্যন্ত বলতে পাছে না তারা। এই ইস্যুতে সরকারকে পদত্যাগ করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
রোরবার (১৬ জুন) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল সরকারের সমালোচনা করে বলেন, বর্তমান অনির্বাচিত দখলদারি সরকারের কাছে সার্বভৌমত্ব ব্যাপার কোনো প্রভাব বিস্তার করছে না। একটা ভিন্ন দেশের সাথে দেশের স্বীকৃত যে পথ, সেই সমুদ্র পথে আমরা যাতায়াত করতে পারছি না। সেখানে গোলাগুলি করে পথ বন্ধ করে দিচ্ছে অথচ সরকার এখন পর্যন্ত কোন স্ট্যাসমেন্ট ও মিনয়ামারের সাথে কোন যোগাযোগ করেনি। তারা শুধু বলছেন, আমরা দেখছি কিন্তু এবিষয়ে তারা এখন পর্যন্ত কারও সাথে কোনো আলোচনাও করনেনি।
সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা কিভাবে থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ আশা করে দেশের সার্বভৌমত্ব সরকার রক্ষা করবে। সেখানে সরকারের কোন রকম কথাই আমরা শুনতে পাচ্ছি না। তাই আমরা মানে করি এই ইস্যুতে নতজাত সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।
তিনি আসন্ন কোরবানি ঈদ প্রসঙ্গে বলেন, মুদ্রাস্ফিতে যেভাবে বেড়েছে তাতে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। আমরা লক্ষ্য করেছি মানুষ কোরবানি ঈদের পশু কিনতে যাচ্ছে কিন্তু দাম বেশির কারণে অনেকে পশু কিনতে পারছেন না। ঢাকার পশুর বাজার গুলোতে কোনো লোকই নেই। এর কারণ হচ্ছে মানুষের আর্থিক অবস্থা চরমভাবে খারাপ হয়েছে। এই সরকার দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। ব্যাংক গুলোকে লুট করে শেষ করে দিয়েছে এবং অর্থনীতিকে চরম খারাপ অবস্থানে নিয়ে এসেছে।
বেনজীর ও সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, যে সমস্ত কর্মকর্তারা মনে করছেন আওয়ামীলীগকে সমর্থন করে লুটপাট করে টিকে থাকতে পারবেন। আসলে টিকে থাকতে পারছেন না। আজিজ ও বেনজীর তার প্রমাণ। লুট করলে চুরি করলে এবং অন্ধের মতো অজনপ্রিয় সরকারকে সমর্থন করলে টিকে থাকা সম্ভব না। এই সরকারই তাদের বলির পাঠা বানিয়েছে। এছাড়াও সাবেক ঢাকা ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়ার বিষয়ে পত্রিকায় তার বিশাল নিউজ বেড়িয়েছে। এখন থলের বিড়াশ একেক করে সব বেড়িয়ে আসছে। আমরা বহুদিন ধরেই বলে আসছি এই সরকার রাস্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে। সরকারি কর্মকর্তাদের চুরির সুযোগ দিচ্ছে। সেই সুযোগ দিয়ে দিয়ে আজকে এই ঘটনা গুলো ঘটিয়েছে। এখন কোনকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করতে ব্যার্থ হয়েছে।
এছাড়াও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, কমিটি পরিবর্তনে আন্দোলন ব্যার্থতা হতে পারেনা। একটা ন্যায় সঙ্গত আন্দোলন কখনো ব্যার্থ হয় না। যদি সেটা হতো তাহলে এদেশ স্বাধীনতা হতো না, রাষ্ট্র ভাষাও বাংলা হতো না। বিএনপির আন্দোলন হয়তো সাময়িকভাভে সরকারের দমন নীতির কারণে স্তিমিত হয়েছে কিন্তু আন্দোলন চলমান আছে ও বেগবান হবে। মূলত রাজনৈতিক দলের পরিবর্তন হয় একটা দলকে শক্তিশালী করার জন্য। আমাদের অনেকে মারা গেছেন অনেকে দেশের বাইরে চলে যাওয়ার কারণে যে পদগুলো শূন্য ছিল সেই পদ গুলোতে পূরণ করা হয়েছে। এতে আমরা আশাবাদি এই পরিবর্তনে দল আরও শক্তিশালী হবে।
এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ সহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীর উপস্থিত ছিলেন।