লোকায়ন ডেস্ক: বাংলাদেশ কাস্টমসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অর্থপাচার প্রতিরোধসহ রাজস্ব প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘পেশাগত দক্ষতা, ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা ও যৌক্তিক সংস্কার বাস্তবায়নের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি, মজবুত অর্থনীতির ভিত গঠন, অপবাণিজ্য রোধ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন প্রতিরোধ, অর্থপাচার প্রতিরোধসহ রাজস্ব প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে।’
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) ‘আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ কাস্টমসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অংশীজনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। দিবসটির এবারের মূল প্রতিপাদ্য ‘মিলে নবীন-পুরনো অংশীজন, কাস্টমস করবে লক্ষ্য অর্জন’- সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ২০০৯ সাল থেকে একাধারে সরকার গঠন করে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয়ে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্ব অর্থনীতির এই সংকটময় মুহূর্তেও দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে আমাদের সরকার সফল হয়েছে। পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেলের স্বপ্ন জয় করেছি আমরা, মেট্রোরেলের যুগে প্রবেশ করেছে দেশ।’
তিনি বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র, এলএনজি টার্মিনাল ও গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের কাজ অচিরেই সম্পন্ন হওয়ার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের অক্সিজেন হলো রাজস্ব। ন্যায়ানুগভাবে রাজস্ব আহরণ করার লক্ষ্যে আধুনিক রাজস্বনীতি প্রণয়ন, ডিজিটাল কাস্টমস সেবা, উন্নত তথ্য ভাণ্ডার নির্মাণ, ওয়ানস্টপ সার্ভিস প্রদান, অংশীজনদের সঙ্গে আস্থা ও সহযোগী অংশীদারত্ব গঠনসহ উত্তম পেশাদারত্বের নানান উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ কাস্টমস।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও কলকারখানা জাতীয়করণের মাধ্যমে এসবের ওপর জনগণের অংশীদারত্ব নিশ্চিত করেন। অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীলতা গঠনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত করার লক্ষ্যে তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গঠন করেন। ফলে দেশে রাজস্ব আদায়ের বহুমুখী খাত তৈরি হয় এবং সম্ভাবনা বাড়ে। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিলো ৯১ মার্কিন ডলার। বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছরে তা বাড়িয়ে ২৭৭ মার্কিন ডলারে উন্নীত করেন। জাতির পিতার আমলে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৯ শতাংশ অতিক্রম করে।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে রাজস্ব সৈনিকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এসব কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় আমাদের লক্ষ্য হলো ২০৪১ সালের মধ্যে ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়ন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।’ প্রধানমন্ত্রী এসময় আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস ২০২৪ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।