দেখা যায়, জেলায় এবার অক্টোবরের শেষ দিকে হালকা করে শীত পড়া শুরু হলেও ডিসেম্বরে শীতের মাত্রা বাড়তে থাকে এবং জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে পৌষের শেষে এসে হঠাৎ করে বেড়ে যায় শীত ও কুয়াশা। ক্রমেই কমছে বাতাসের আর্দ্রতা আর বাড়ছে হিমেল হাওয়ার ঠাণ্ডা পরশ। জেলায় ৫-৬ দিন ধরে সূর্য্যের দেখা নেই বললেই চলে। তবে দুপুরের পরে একটু আধটু দেখা মিললেও তাপমাত্রা থাকে খুবই কম। দুপুরেও মাঠ ঘাট কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকলেও সন্ধ্যা থেকে বাড়তে শুরু করে কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাশ। রাত যত গভীর হয় কুয়শার ঘনত্ব ও ঠান্ডার দাপট ততো বাড়তে থাকে। গাড়ির লাইটও কুয়াশা ভেদ করে বেশি দূর যেতে পারে না।
সন্ধ্যা থেকে থেকে দুপুর পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকছে রাস্তা ও ফসলের মাঠসহ চার দিক। দুঘর্টনা এড়াতে রাস্তায় চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহন হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। ফুটপাতে ও রাস্তার ধায়ে খড়কুটা দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে। এছাড়াও শীতের কারণে গৃহপালিত গরু ছাগলের গায়ে পড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কাপড় ও চটের বস্তা। অন্যদিকে হাসপাতাল গুলোতে শীতজনিত কারণে সর্দি, কাশি, ডায়রিয়ার জন্য শিশুদের নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন অনেকে।
তবে স্থানীয়রা বলছেন, তীব্র শীতের কারণে তারা ঠিকভাবে কাজকাম করতে পারছেন না। শীতে কাজ করতে খুব কষ্ট হচ্ছে তাদের। তাই শীত নিবারণের জন্য সরকারের কাছে শীত বস্ত্রের আকুতি জানান তারা।
হচ্ছেন অনেকে।
এছাড়াও ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান ঢাকা মেইলকে বলেন, জেলার ৫৪ টি ইউনিয়ন ও ৩টি পৌরসভায় এপর্যন্ত ৩৩ হাজার ৪৫০ পিস কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও চাহিদা অনুযায়ী আরও ৫০ হাজার কম্বল ও ২০ লাখ টাকা চাহিদা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। শীতে সরকারের পাশাপাশি তিনি বিত্তশালীদেরও শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।